শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

প্রবাসে বিয়ে করে প্রতারণা, স্ত্রীর অধিকার আদায়ে অনশন

জেলা প্রতিনিধি, শরীয়তপুর
প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:২৯ পিএম

শেয়ার করুন:

প্রবাসে বিয়ে করে প্রতারণা, স্ত্রীর অধিকার আদায়ে অনশন

ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম টিকটকে পরিচয় থেকে গত প্রায় দেড় বছর আগে সজিব ফকিরের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে কক্সবাজারের এক তরুণীর। এই প্রবাসী যুগল সৌদি থাকা অবস্থায়ই বাঙালি এক হুজুরের মাধ্যমে বিয়ে করেছেন বলেও দাবি ভুক্তভোগীর। তবে দেশে ফিরে এসব অস্বীকার করায় জাজিরায় ছেলের বাড়িতে এসে অনশন করছেন কক্সবাজারের ওই তরুণী। তার দাবি, সৌদি আরব এবং কক্সবাজারে তাদের বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে একসাথেই থেকেছেন তারা।

শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা ইউনিয়নের সজীব ফকির (২৮) নামের এক প্রবাসীর বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন সৌদি প্রবাসী তরুণী (২৫)। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে উপজেলার জাজিরার নাওডোবা ইউনিয়নের আবেদ আলী মুন্সি কান্দির জাহাঙ্গীর ফকিরের বাড়িতে অবস্থান করছেন তিনি। সজীব ফকির ওই এলাকার জাহাঙ্গীর ফকিরের ছেলে।


বিজ্ঞাপন


ভুক্তভোগী তরুণী জানান, তার বাড়ি কক্সবাজারের উখিয়ায়। তারা দুজনই সৌদি প্রবাসী। সৌদি থাকাকালীন ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকের মাধ্যমে তাদের পরিচয়। প্রায় দেড় বছর আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে তারা সৌদি আরবে এক বাঙালি হুজুরের মাধ্যমে বিয়ে করেন। দেড় মাস আগে দুজনই দেশে ছুটিতে আসেন। ছুটিতে এসে সজীবও কক্সবাজারে ওই তরুণীর বাড়িতে বেড়াতে যান। তবে সেখান থেকে ফিরে আসার পরই ওই তরুণীকে এড়িয়ে চলা শুরু করেন সজীব।

একপর্যায়ে তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন সজীব। কোনো উপায় না দেখে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে সজীবের বাড়িতে অবস্থান নেন তিনি। ওই তরুণীর আসার খবর পেয়ে পালিয়েছেন সজীব।

তরুণী বলেন, সজীব আমাকে সৌদিতে বিয়ে করে তার সঙ্গে রেখেছে। এমনকি ছুটিতে আসার পর কক্সবাজারে আমাদের বাড়িতেও স্বামী হিসেবে ছিল। এখন সে সবকিছু অস্বীকার করছে। তাই আমি তার বাড়িতে চলে এসেছি। সজীব যদি আমাকে গ্রহণ না করে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।

স্থানীয় চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব না হলেও ইউপি সদস্য জুলফিকার আলি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। এসময় তিনি বলেন—আমি ঘটনাটি শুনে এখানে এসে বিস্তারিত জানলাম। সকালে মেয়েটি এখানে আসার পর তার কোন কথা না শুনেই সজিবের মা-বোন মিলে তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করার পাশাপাশি বেশ কয়েকবার মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে বলেও অভিযোগ করলো সে। চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে আমাদের কিছু করনীয় থাকলে তা করবো।


বিজ্ঞাপন


জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম লুনা বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে সেখানে ওই ওয়ার্ডের নারী ইউপি মেম্বারকে পাঠাতে বলেছি। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রতিনিধি/একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর