শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

চাহিদা বেড়েছে পাঞ্জাবির, জমজমাট সদরঘাটের শরীফ মার্কেট

এস. এম. শাহাদাত হোসেন অনু
প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০২৩, ০৭:০৮ পিএম

শেয়ার করুন:

চাহিদা বেড়েছে পাঞ্জাবির, জমজমাট সদরঘাটের শরীফ মার্কেট

ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে পছন্দের ডিজাইনের পাঞ্জাবি কিনতে মার্কেটে মার্কেটে ছুটছেন ক্রেতারা। তাদের পদভারে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজধানী পুরান ঢাকার পাঞ্জাবির বাজার। নানা ডিজাইনের পাঞ্জাবিতে সেজেছে বিপণি বিতানগুলো।

রাজধানীর সদরঘাট এলাকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর পাঞ্জাবির চাহিদা দ্বিগুণের বেশি। পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, গত দুই বছরের তুলনায় বিক্রি কয়েক গুণ বেড়েছে। করোনার কারণে গেল দুই বছর পাঞ্জাবির ব্যবসা মন্দা গেছে। এবার খরা কাটিয়ে সুদিন ফিরেছে বাণিজ্যে।

বরাবরের মতো এ বছরও দেশীয় তাঁত, সুতি, খাদির পাশাপাশি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ভারতীয় পাঞ্জাবি। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় পাঞ্জাবিতে এসেছে নানা বৈচিত্র্য ও বাহারি ডিজাইন। তবে গরম বেড়ে যাওয়ায় সুতি, চায়না পেনসিলসহ পাতলা কাপড়ের তৈরি পাঞ্জাবির বিক্রি এবার সবচেয়ে বেশি।

পুরান ঢাকায় শরীফ মার্কেট পাঞ্জাবির জন্য সবার কাছে বহুল পরিচিত। ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শবে বরাতের পর থেকে তারা পাইকারি বাজার শুরু করেছে প্রায় শতভাগই বেচাবিক্রি শেষ। এখন তারা হিসাব-নিকাশ কষতে শুরু করবে। টাকা সংগ্রহ ও খুচরা বিক্রি করতে এখন তাদের একমাত্র পরিকল্পনা।

তপন পাঞ্জাবি ফ্যাশনের বিক্রয়কর্মী মো. রায়হান ঢাকা মেইলকে বলেন, এবার পাঞ্জাবির বিক্রি অনেক ভালো। গত দুই বছর ব্যবসাই হয়নি। কিছু হবে বলে আশা করছি। গরম বেশি থাকায় ভারতীয় পাতলা কাপড়ের তৈরি পাঞ্জাবির বিক্রি ভালো। এগুলো পাওয়া যাচ্ছে ৭০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে। এগুলোর চাহিদাই সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়া জমকালো ডিজাইন বা এম্ব্রয়ডারির পাঞ্জাবির ক্ষেত্রে খরচ আরও বেশি পড়বে।

হারুন পাঞ্জাবি হাউজের মালিক খালিদ বলেন, আলহামদুলিল্লাহ পাইকারি ভালো বিক্রি পেয়েছি, এখন খুচরা বিক্রির দিকে মনোযোগ দিচ্ছি। এবার ইনশাআল্লাহ আগের তুলনায় ভালোয় ব্যবসা যাচ্ছে।


বিজ্ঞাপন


রাজিব ফ্যাশনের খুচরা বিক্রেতা মো. সোহাগ জানান, সপ্তাহের ব্যবধানে ক্রেতাদের আগমন বেড়েছে, বিক্রিও বেড়েছে। কাপড়ের দাম বেড়ে যাওয়ায় পাঞ্জাবির দাম এবার একটু বেশি। দাম শুনে অনেকে কিনছেন না।

নরসিংদী থেকে আসা ফারুক ঢাকা মেইলকে বলেন, ঈদের বাজার শুরু হয়ে গেছে, তাই মালামাল নিয়ে যাচ্ছি একবারে। মাঝামাঝি আর একবার আসতে পারি। এবার ভালো বিক্রি হবে। দোকানও খোলা রাখতে পারছি। সবকিছু ঠিক থাকলে গতবারের লোকসান উঠে যাবে।

প্রতিনিধি/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর