শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

গানের ভূবনে বহুদূর যেতে চান সংগীতা আক্তার হ্যাপি

বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০২৪, ০৪:২৭ পিএম

শেয়ার করুন:

Sangeeta Akther Happy

শখের বশে তিনি শুরু করেছিলেন গান গাওয়া। সংগীত ভালো লাগার শুরু শৈশব থেকেই। অল্প কিছুদিনেই এই ভালোলাগা পরিনত হয়েছে ভালোবাসায়। একেবারে পেশাদার শিল্পীর মতো। প্রতিদিন তিনি গাইছেন। আর মানুষকে সুরের মূর্চ্ছনায় আচ্ছন্ন করে দিচ্ছেন। ইতিমধ্যেই জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে সংগীতের ওপর পুরস্কারও পেয়েছেন। আর এভাবেই তিনি সুরকে ছড়িয়ে দিতে চান সারাদেশে। 

কথা হচ্ছিল রংপুরের মেয়ে হ্যাপি খাতুনের সঙ্গে। ফেসবুক, ইউটিউবে যার পরিচয় সংগীতা আক্তার হ্যাপি নামে। রংপুর শহরের ধাপের মেয়ে হ্যাপি। সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্রী তিনি। যষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় বাবা হামিদুল ইসলামের প্রেরণায় গানের খাতায় নাম লেখান। 


বিজ্ঞাপন


375821183_328574803075475_8597886635598188261_n

সংগীতের হাতেখড়ি ওস্তাদ মনোরঞ্জন মোদক ও রতন লাহিড়ীর কাছে। তমাল কান্তি লাহিড়ীর কাছেও গান শিখেছেন। জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে চার বছরের একটি কণ্ঠসংগীত কোর্সও সম্পন্ন করেছেন। 

উচ্চাঙ্গ সংগীত ও নজরুল সংগীতের ওপর বিশেষ আগ্রহের কারণে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন হ্যাপি। চ্যানেল আইয়ের ২০১৪ সালে ‘রাগ তারায় তারায় দ্বীপ শিখা’  প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন তিনি।

436308401_478323934767227_2752189819606754708_n                


বিজ্ঞাপন


জাতীয় পর্যায়ে ২০১৯ সালে উচ্চাঙ্গ সংগীতে এবং ২০২২ সালে নজরুল সংগীতে পুরস্কৃত হন। বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের আধুনিক গান ও নজরুল সংগীতে তালিকাভূক্ত শিল্পী তিনি। 

সংগীতা আক্তার হ্যাপি জানান, শৈশব থেকেই গানের প্রতি এক ধরনের অনুরাগ কাজ করত। তার বাবা সংগীতপ্রিয় মানুষ। তিনিই উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। 

323007205_912325906787407_31947461071691731_n

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার রাধাকৃষ্ণপুর তার জন্মস্থান। বর্তমানে শহরের ধাপ এলাকায় বসবাস করেন। মা-বাবা, দুই ভাই-দুই বোনের সংসার তাদের। পড়ালেখার পাশাপাশি রংপুরের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শ্রোতাদের গান গেয়ে শোনান। নিজেদের বাড়িতে ছোট্ট একটি স্টুডিও তৈরি করেছেন। সেখান থেকে প্রতিদিন গান রেকর্ড করেন। এরপর ফেসবুক পেজ ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে প্রকাশ করেন। 

তার ফেসবুক ফলোয়ারের সংখ্যা ৩৭ হাজার ছাড়িয়েছে। তিনি ঢাকা মেইলকে  বলেন, ‘সংগীত আমার পেশা নয়। এক ধরনের ভালো লাগা থেকে গান গাইছি। দর্শক ও শ্রোতারা পছন্দ করলে এটি পেশাও হতে পারে।’ 

417834698_397402576192697_1359218463613303022_n

তবলা বাদক সুজয় রায় তার সংগীত রেকর্ডিং সহযোগিতা করে থাকেন। স্টেজ শোতেও পারফর্ম করেন সমানতালে। উচ্চাঙ্গ সংগীত ও নজরুল সংগীতে পারদর্শীতা অর্জন করলেও হ্যাপি আক্তার সব ধরনের গান করেন। তিনি ফেসবুক পেজ থেকে মাঝেমাঝে লাইভে অনুরোধের গান করেন। 

হারানো দিনের গান, উর্দু-হিন্দি, লোক সংগীত, বিরহ-বিচ্ছেদের গান, রংপুরের ভাওয়াইয়া, চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান ও নজরুলের ইসলামী গান তার দরদভরা কণ্ঠে মূর্ত হয়ে ওঠে।                           

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর