শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

৫১ বছরে ২৩ প্রধান বিচারপতি

আমিনুল ইসলাম মল্লিক
প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০৬:০৫ পিএম

শেয়ার করুন:

৫১ বছরে ২৩ প্রধান বিচারপতি
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ৫১ বছর। এখন পর্যন্ত বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছেন ২২ জন বিচারপতি। এদের মধ্যে ২ জন হয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হয়েছেন ২ জন। নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ১ জন বিচারপতি। ২২ জনের মধ্যে মারা গেছেন ১১ জন সাবেক প্রধান বিচারপতি। বর্তমানে বাংলাদেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম


বিজ্ঞাপন


স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি দেশের প্রথম প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর সামরিক অভ্যুত্থানের পর ৬ নভেম্বর দেশের ৬ষ্ঠ রাষ্ট্রপতি হন বিচারপতি সায়েম। ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল তিনি তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানের হাতে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব দিয়ে অবসর নেন। বিচারপতি সায়েম ১৯৯৭ সালের ৮ জুলাই ৮১ বছর বয়সে মারা যান।

বিচারপতি সৈয়দ এ বি মাহমুদ হোসেন

ঢাকা দারুল উলুম আহসানিয়া মাদরাসার প্রধান হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ এ বি মাহমুদ হোসেন। ১৯৩০ সালে হবিগঞ্জ আইনজীবী সমিতিতে যোগদানের মাধ্যমে জড়িত হন আইন পেশায়। ১৯৫৮ সালে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট, পরে পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল, ১৯৬৫ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে যোগদান করেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি নিযুক্ত হন। ১৯৭৫ সালের ১৮ নভেম্বর থেকে ১৯৭৮ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেন। বিচারপতি মাহমুদ ১৯৮১ সালের ২ আগস্ট ঢাকায় মারা যান। প্রয়াত এই প্রধান বিচারপতির ছেলে সৈয়দ দস্তগীর হোসেনও ছিলেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি।

বিচারপতি কামাল উদ্দিন হোসেন


বিজ্ঞাপন


দেশের তৃতীয় প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান বিচারপতি কামাল উদ্দিন হোসেন। ১৯৮২ সালের ১১ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্বে ছিলেন। অবসরের পর ১৯৯৮ সালে তিনি আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন।

বিচারপতি ফজলে কাদেরী মোহাম্মদ আবদুল মুনিম

চতুর্থ প্রধান বিচারপতি ফজলে কাদেরী মোহাম্মদ আবদুল মুনিম সবচেয়ে বেশি সময় প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮২ সালের ১২ এপ্রিল তিনি প্রধান বিচারপতি হন। এ পদে ছিলেন ১৯৮৯ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। অর্থাৎ ৭ বছর ৭ মাস। তিনি ১৯৫৮ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলএম এবং ১৯৬০ সালে আইন শাস্ত্রে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি ১৯৫৯ সালে বার আ্যট ল' ডিগ্রি লাভ করেন। পরে তিনি আইন কমিশনের প্রথম চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। ১৯৯৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর স্বাস্থ্যগত কারণে পদত্যাগ করেন।

বিচারপতি বদরুল হায়দার চৌধুরী

দেশের পঞ্চম প্রধান বিচারপতি বদরুল হায়দার চৌধুরী ১৯৮৯ সালের ১ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। অর্থাৎ তার মেয়াদ ছিল মাত্র এক মাস। প্রয়াত বিচারপতি বদরুল হায়দার চৌধুরীর মেয়ে বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নাঈমা হায়দার চৌধুরী।

বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ

ষষ্ঠ প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ দায়িত্বে ছিলেন ১৯৯০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৯৯৫ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর সেনা শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতনের পর তিনি রাষ্ট্রপ্রধান হয়ে ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করেন। জাতীয় নির্বাচন শেষ করে তিনি আবার তার আগের পদে ফিরে যান। তার জন্য বাংলাদেশের সংবিধানও সংশোধন করতে হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সাহাবুদ্দিন আহমেদকে আবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করা হয় এবং তিনি পাঁচ বছর রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান

বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় প্রথম প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সপ্তম প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান। তিনি ১৯৯৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৯৫ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালের জুনের জাতীয় নির্বাচনে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানের দায়িত্ব পান। ওই নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে।

বিচারপতি এ টি এম আফজাল

অষ্টম প্রধান বিচারপতি এ টি এম আফজাল দায়িত্বে ছিলেন ১৯৯৫ সালের ১ মে থেকে ১৯৯৯ সালের ৩১ মে পর্যন্ত। তিনি ১৯৬০ সালে আইনজীবী হিসেবে ঢাকা হাইকোর্টে যোগ দেন। এ টি এম আফজাল ১৯৭৭ সালে হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৮৫ সালে আপিল বিভাগের বিচারপতি নিযুক্ত হন। প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

বিচারপতি মোস্তফা কামাল

বাংলাদেশের নবম প্রধান বিচারপতি ছিলেন মোস্তফা কামাল। ১৯৯৯ সালের ১ জুন থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বার এ্যাট ল' ডিগ্রি লাভ করে আইনজীবী হিসেবে হাইকোর্টে যোগদান করেন। ১৯৭৯ সালে হাইকোর্টের এবং ১৯৮৯ আপিল বিভাগের বিচারপতি নিযুক্ত হন।

বিচারপতি লতিফুর রহমান

লতিফুর রহমান দেশের দশম বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০০১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তিনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের (২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময়) প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন।

বিচারপতি মাহমুদুল আমিন চৌধুরী

একাদশ প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমিন চৌধুরী ২০০১ সালের ১ মার্চ থেকে ২০০২ সালের ১৭ জুন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

বিচারপতি মাইনুর রেজা চৌধুরী

১২তম প্রধান বিচারপতি মাইনুর রেজা চৌধুরী দায়িত্বে ছিলেন ২০০২ সালের ১৮ জুন থেকে ২০০৩ সালের ২২ জুন পর্যন্ত।

বিচারপতি কে এম হাসান

১৩তম প্রধান বিচারপতি কে এম হাসান ২০০৩ সালের ২৩ জুন থেকে ২০০৪ সালের ২ জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এখানে উল্লেখ্য, বিচারপতি হাসানের অবসর গ্রহণের পরপরই বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছরের পরিবর্তে ৬৭ বছর নির্ধারণ করা হয়।

বিচারপতি সৈয়দ জে আর মোদাচ্ছির হোসেন

দেশের ১৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সৈয়দ জে আর মোদাচ্ছির হোসেন। তিনি ২০০৪ সালের ২৭ জানুয়ারি থেকে ২০০৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন।

বিচারপতি মো. রুহুল আমিন

১৫তম প্রধান বিচারপতি মো. রুহুল আমিন ২০০৭-এর ১ মার্চ থেকে ২০০৮ সালের ৩১ মে পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

বিচারপতি এম এম রুহুল আমিন

দেশের ১৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এম এম রুহুল আমিন। তিনি ২০০৮ সালের ১ জুন থেকে ২০০৯ সালের ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৩ সালে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর এবং ১৯৬৬ সালে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।

বিচারপতি তাফাজ্জাল ইসলাম

দেশের ১৭তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তাফাজ্জাল ইসলাম। তিনি ২০০৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর থেকে ২০১০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করীম

বাংলাদেশের অষ্টাদশ প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করীম। তিনি ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক

ঊনবিংশ প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১১ সালের ১৭ মে পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন। তার দায়িত্বে থাকার সময়ই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অসাংবিধানিক ঘোষিত হয়। বিদায় নেওয়ার পর তিনি আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন

বিংশতম প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন দায়িত্বে ছিলেন ২০১১-এর ১৮ মে থেকে ২০১৫ সালের ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা

দেশের ২১তম প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এসকে সিনহা) দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত হয়েছেন। তিনি ২০১৫ এর ১৭ জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন তিনি। পদত্যাগের আগে ওই বছরের ১৪ অক্টোবর তিনি দেশের বাইরে যান, এরপর আর দেশে ফিরে আসেননি। সিনহা পদত্যাগ করার পর ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আব্দুল ওয়াহহাব মিঞা। ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের পর তিনিও পদত্যাগ করেন। ধারণা করা হয়, তাকে প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব না দেয়ায় তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।

বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন

বাংলাদেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি ছিলেন সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। ২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি শপথ নেন এবং পৌনে তিন বছরের কিছু বেশি সময় দায়িত্ব পালন শেষে ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর তিনি অবসরে যান।

বিচারপতি মাহমুদ বিএসসি ও এলএলবি সম্পন্ন করে ১৯৮১ সালে জেলা জজ আদালতে কাজ শুরু করেন তিনি। এরপর ১৯৮৩ সালে হাইকোর্টে অ্যাডভোকেট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৯৯ সালে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ২০০১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে এবং এর দুই বছর পর ২০০৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি একই বিভাগে স্থায়ী নিয়োগ পান। ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। সৈয়দ মাহমুদ হোসেন দু’বার নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য গঠিত সার্চ কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।

বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী

বাংলাদেশের ২৩তম ও বর্তমান প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তিনি ১৯৮১ সালে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৮৩ সালের তিনি হাইকোর্ট এবং ১৯৯৯ সালে আপিল বিভাগের অন্তর্ভুক্ত হন। ২০০৯ সালের ২৫ মার্চ হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। ৩১ মার্চ ২০১৩ সালে আপিল বিভাগের বিচারক হন। এছাড়া তিনি অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও কাজ করেছেন। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর তিনি বাংলাদেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০২৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর অবসরে যাবেন।

রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন যেসব সাবেক প্রধান বিচারপতি: অবসরে যাওয়ার পর রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম ও বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ।

>> আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি নাইমা

আইন কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন যারা: বিচারপতি কামালউদ্দিন হোসেন বাংলাদেশ আইন সংস্কার কমিটির প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিচারপতি এফ কে এম এ মুনিম ছিলেন আইন কমিশনের প্রথম চেয়ারম্যান। হাবিবুর রহমান প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর গ্রহণের পর আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এটিএম আফজাল প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর গ্রহণের পর আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

নির্বাচন কমিশন গঠনের সার্চ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

অবসরের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন হাবিবুর রহমান ও লতিফুর রহমান।

মারা গেছেন যেসব প্রধান বিচারপতি

অবসরের পর মারা গেছেন বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, বিচারপতি সৈয়দ এ বি মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি কামাল উদ্দিন হোসেন, বিচারপতি বদরুল হায়দার চৌধুরী, সাবেক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ, বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, বিচারপতি মোস্তফা কামাল, বিচারপতি লতিফুর রহমান, বিচারপতি মাহমুদুল আমিন চৌধুরী, বিচারপতি মাইনুর রেজা চৌধুরী, বিচারপতি মো. রুহুল আমিন।

এআইএম/জেএম/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর