শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

গুলিস্তান পার্কে শিশু-কিশোরদের মিলনমেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল ২০২৩, ১০:০৮ পিএম

শেয়ার করুন:

গুলিস্তান পার্কে শিশু-কিশোরদের মিলনমেলা
ছবি: ঢাকা মেইল।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনে রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকার প্রাণকেন্দ্র গুলিস্তানের শহীদ মতিউর রহমান পার্কেও জমেছে শিশু-কিশোরদের মিলন মেলা। ঈদের পরদিন সকাল থেকেই অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানদের নিয়ে আসতে শুরু করেন এই পার্কে। পরে দুপুর গড়াতেই ছোট-বড় দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে ভরে যায় পার্ক।

রোববার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পার্কের উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব পাশের তিন গেট দিয়েই প্রবেশ করছে মানুষ। গেটে প্রবেশ ফি জনপ্রতি ১০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। এ দিন পার্কে ঢুকেই অনেকেই ছবি তুলতে দেখা যায়। আবার অনেকে বিভিন্ন রাইড উপভোগ করতেও দেখা যায়।


বিজ্ঞাপন


Parkঅন্যান্য সময়ে রাইডগুলো ফাঁকা থাকলেও আজ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট করেন দর্শনার্থীরা। আবার অনেককেই পার্কের পুকুরে ছোট ছোট নৌকায় পরিবার নিয়ে উঠতে দেখা যায়। দর্শনার্থীরা বলছেন, যানজট না থাকায় পরিবার নিয়ে রাজধানীতে ঘুরে অনেক ভালো লাগছে। সহজেই বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া যাচ্ছে।

Parkরাজধানীর মান্ডা এলাকা থেকে গুলিস্তান পার্কে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা মিঠু বলেন, ‘ঈদে ছুটিতে পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি। অন্যান্য দিনে অনেক যানজট থাকে। ঠিকমতো কোথাও যাওয়া হয় না। বাচ্চারা অনেক আনন্দ করছে। অনেক ভালো লাগছে।’

এদিকে, ঈদকে ঘিরে পার্কে শিশুদের জন্য নানা ধরনের রাইডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যেকটি রাইডে ৫০ টাকার উপরে ফি নেওয়া হচ্ছে। অবশ্য রাইড ফি বেশি হওয়ায় অনেক দর্শনার্থীও বিষয়টি নিয়ে এ দিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

Parkতাদের ভাষ্য- প্রতিটি রাইডে ৫০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে, কিন্তু অল্প একটু সময় রাখা হচ্ছে। রাইডের ফি আরেকটু কমিয়ে দিলো ভালো হতো। বাচ্চারা আরও বেশি আনন্দ উপভোগ করতে পারত।


বিজ্ঞাপন


অন্যদিকে, পার্কের ভেতরে রয়েছে চা-কফি, আইসক্রিম, ফুচকাসহ বেশকিছু খাবারের দোকান। ঘুরাঘুরি আরও রাইড উপভোগের পাশাপাশি এসব দোকান থেকে খাবার খেয়ে সময় কাটাতে দেখা যায় দর্শনার্থীদের।

Parkএকসময় গুলিস্তান পার্কটি ময়লা আবর্জনায় ভরা ছিল। এখন সবকিছু পরিষ্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে পার্কটির ভেতরে চারদিক বাঁধাই করা পুকুরের পানিতে দেওয়া হয়েছে ছোট ছোট নৌকা। আর পুকুরের পশ্চিম পাড়ে তৈরি সুদৃশ্য ঘাটটি যে কারও নজর কাড়ে। এতে সৌন্দর্যও বেড়েছে পার্কের। ফলে এখানে বসে সময় কাটান আগত দর্শনার্থীরাও। এছাড়াও মেহগনি, আম, জাম, ঝাউ, পাতাবাহার, আকাশমণি, দেবদারু, গাব, বকুলসহ বিভিন্ন গছে সাজানো হয়েছে পুরো পার্ক। যা রীতিমতো নজর কাড়ে দর্শনার্থীদের।

টিএই/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর